শিরোনাম
৬৫ হাজার টাকায় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা
আড়াইহাজার প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের এক পোশাক কারখানার নারী শ্রমিককে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আর এ ঘটনার ধামা চাপা দিতে ৬৫ হাজার টাকায় রফাদফার চেষ্টা করে প্রভাবশালী মহল।
গ্রামবাসি জানায়, উপজেলার মানিকপুর গ্রামে অন্যের জমিতে ঘর তুলে থাকেন পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিক। প্রায় ৫ বছর আগে তার স্বামী বিদেশ গিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ায় ছোট্ট কন্য শিশুকে নিয়ে কষ্টে দিন কাটে তার। পরে কাজ নেয় ফকির ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানায়।
এরই মধ্যে কারখানায় যাতায়াতের সময় প্রায় ওই নারীকে উত্যক্ত করে পাশের গ্রামের রেজাউলের ছেলে জহিরুল হক । থানায় করা অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, ওই নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে জহিরুল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। সব শেষ ২৫ আগস্ট ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফোন করে ডেকে নেয় আড়াইহাজার বাজারে । পরে কাজীকে ডেকে আনার কথা বলে একটি ভবনের তৃতীয় তলায় নিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে আটকে রাখে। এরপর রাতভর ওই নারীকে ধর্ষণ করে জহিরৃল। পরদিন সকালে তাকে নাস্তা আনার কথা বলে রুমে রেখেই জহিরুল পালিয়ে যায়।
ধর্ষণের শিকার নারী গ্রামে ফিরে ওই যুবকের পরিবারকে ঘটনা জানালে তার বাবা ওই মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর স্থানীয় গ্রাম্য মজলিস বসিয়ে ৬৫ হাজার টাকায় ধর্ষণের ঘটনার রফাদফায় চাপ প্রয়োগ করে। এ সিদান্ত না মানলে ওই নারীকে গ্রাম ছাড়া করার হুমকিও দেয়া হয়। মজলিসে করা অপমান সইতে না পেরে বিষ পান করে আতœহত্যার চেষ্টা করে ওই নারী। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর গ্রামে ফিরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সোমবার আড়াইহাজার থানায় ২ জনের বিরুদ্বে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী সে নারী আরও বলেন,‘ থানায় অভিযোগ করতে গেলে ওসি স্যার বলে আমার স্বামীকে ডির্ভোস দিতে, তাহলে নাকি মামলা নিবে। এ কথা বলে তিনি আমাকে বিদায় করে দেন। তিনি আরো জানান, থানা পৃলিশ আসামীদের সাথে আতাত করে আমার মামলাটি নিতে তালবাহানা করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বলেন, সোমবার আড়াইহাজার থানায় কোন ধর্ষণের মামলা হয়নি। ওই নারীর অভিযোগের ব্যাপারে আমার জানা নেই। #