শিরোনাম
বিএনপি এখন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে সবার কাছে পরিচিত – শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে জণ নন্দিত সাংসদ একেএম শামীম ওসমান নির্বাচনী উঠান বৈঠকের বক্তব্যে বলেন, জামায়াত শিবির ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধীর যে অপরাধ করেছিল, দেশের বিরুদ্ধে এবং মানুষ ও দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। সেই একই ভাবে বিএনপি এখন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে সবার কাছে পরিচিত হয়ে গেছে। জ্বালাও- পোড়াও আন্দোলনের মাধ্যমে বাস-ট্রেনে অসহায় মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মত যে নৃশংস কর্মকান্ড তারা চালাচ্ছে এবং সামনে আরো চালানোর পরিকল্পনা আছে। জনগন তা বুঝে গেছে। বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুর এই কথা কোন দিন ভুলবে না, দেশের স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। সেই স্বাধীনতা রক্ষার প্রশ্ন এখন এসেছে। আপনারা সিদ্ধান্ত নিন।
বুধবার ( ২৭ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা এনায়েতনগর ইউনিয়ন মুসলিমনগর কে এম উচ্চ বিদ্যালয়ে ২নং ও ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আয়োজিত উঠান বৈঠক এ তিনি এসব কথা বলেন। শামীম ওসমান আরও বলেন, কি হচ্ছে দেশে, কি হতে যাচ্ছে দেশে? এই দেশে এখন যা ঘটছে আপনি যেটা ঘুমের মধ্যেও চিন্তা করবেন না। এই কারণেই করছেন না কারণ বিষয়টা আপনার জানা নেই। আমি বিষয়টা আপনাকে জানাতে এসেছি। আমি পুরোপুরি খোলাভাবে আপনাদের কথাটা বলতে পারবো না। যারা বুঝার তারা বুঝে নেবেন আর যারা বোঝেন নাই তাদেরকে দয়া করে বুঝিয়ে দেবেন। আমি মানসিক ভাবে অনেক চাপে আছি। কারণ দেশটা সবার মাটি আর আমাদের কাছে মা। একটা দেশের স্বাধীনতা অর্জন করা যত কঠিন তার চেয়ে কঠিন দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা। আজ আমার মনে হয় স্বাধীনতা রক্ষার সময় চলে এসেছে।
তিনি বলেন, সেদিন বিএনপি মিটিংয়ে ৫৬ জন সাংবাদিককে পিটিয় শুইয়ে দেয়া হয়েছে। একটা মৃত পুলিশকে চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়েছে, ট্রেনে আগুন দেয়া হয়েছে একটা মা আর বাচ্চা একসাথে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে। যারা এ কাজ গুলো করছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, যারা এই স্বাধীনতাকে নিয়ে খেলতে চাইবেন এই বাঙালি জাতি বাংলার জনগন তাদের বুকের ছাতিতে পাড়া দেবে। ওরা আমার দেশের মাটিতে, আমার মায়ের মাটিতে পাড়া দেবে আমরা ওদের ছাতিতে পাড়া দেব। সোজা এবং ক্লিয়ার ম্যাসেজ।
তিনি আরও বলেন, কোথা থেকে কি হচ্ছে কেন হচ্ছে কেন দেশটাকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। কার স্বার্থ হাসিল হবে। শুধু বিএনপি জামায়াত না, আরেকটা শ্রেণী আছে যারা নিজেদের সুশীল বলে দাবি করেন তারাও এতে জড়িত আছেন। তারা চাচ্ছেন দেশে একটা শুন্যতা সৃষ্টি হোক, শেখ হাসিনা যেন না থাকে। উনাদের প্রথম ও শেষ টার্গেট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুকে সড়িয়ে দিয়ে ওরা ভেবেছিল দেশটাকে ওরা ওদের আদলে নিয়ে যাবে। কিন্তু আল্লাহ জাতির পিতার কন্যাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। দেশটা আবার বাঙালি চেতনায় ফিরে এসেছে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ভৌগলিক সীমারেখার কারণে ওরা আবারো ট্রাই করছে, ওরা তাদের পারপাস সার্ভ করছে যারা দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়। আমাদের যারা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশটাকে স্বাধীন করেছে তাদের জন্য আমরা পারপাস সার্ভ করছি। কোন অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও ইভটিজিং আমার এলাকায় করতে দেয়া হবে না। যারা আমার সন্তানদের মাদক ধরিয়ে ধ্বংস করতে চাচ্ছে তাদের বলতে চাই ভালো হয়ে যান, অন্যথায় কোন ছাড় দেয়া হবে।
এনায়েতনগর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ফজলুল হক সরকার এর সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ জামাল উদ্দিন সবুজ, ৩নং ওয়ার্ড মহিলা কেন্দ্র নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব মোঃ কামাল উদ্দিন মাদবর, ৩নং ওয়ার্ড পুরুষ কেন্দ্র নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব মোঃ আজিম উদ্দিন মাদবর, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম মহিউদ্দিন, মোঃ আমীর হামজা, বিল্লাল হোসেন, জহিরুল ইসলাম, আব্দুল মতিন, টিটু, নুর নবী, এনায়েতনগর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আক্তার, আওয়ামী লীগ নেতা মামুন সরদার, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন মুন্সি সহ প্রমুখ। #