পানি দেখলেই আমার নামতে ইচ্ছে করে – মেয়র আইভী
বন্দর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা সেলিনা হায়াত আইভী বলেছেন, আমি খুব সাতার কাটতে পছন্দ করতাম। এজন্য পানি দেখলেই আমার নামতে ইচ্ছে করে। আগে পুকুরে ২-৩ ঘন্টা নেমে থাকতাম। মার মাইরও, বকাও খাইছি। ভোরবেলা উঠে ছুটে চলে র্যেতাম। কার বড়ই গাছের নিচে বড়ই পড়ে আছে, আম গাছের নিচে আম পড়ে আছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে আর সেই পরিবেশ নেই। সেই পরিবেশ আমি কিভাবে ফেরত দিবো। সে পরিবেশ ফেরত দিতে গিয়ে কখনো খাল কাটতে যাই, মাঠ বানাতে যাই। বিভিন্নভাবে জায়গা উদ্ধার করে পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করি। এটা করতে গিয়ে মনোমালিন্য হয়। ঝগড়াঝাটি তো আছেই।
মেয়র আইভী শুক্রবার ( ২ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বন্দর অংশে সাংস্কৃতিক কর্মী ও সূধীজনের মিলন মেলায় একথা বলেন। কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহিরের পৈত্রিক বাড়িতে দিনব্যাপী এ মিলনমেলা আয়োজন করা হয়। এসময় অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, কবি হালিম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি রফিউর রাব্বি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, জেলা খেলাঘর আসরের সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, জেলা ন্যাপ নেতা এডভোকেট আওলাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মেয়র আরো বলেন, আমার বাবাকে রাজনৈতিকভাবে হত্যা করা হয়েছে। অনেক মুক্তি যোদ্ধা যখন মুক্তি যুদ্ধ নিয়ে বক্তব্য রাখেন, লিখেন তখন অনেক কিছু লিখেন কিন্তু সুকৌশলে আমার বাবার কথা এড়িয়ে যান। কেন ভাই? আমার বাবার যতটুকু অবদান ততটুকু লিখেন। এ শহরে খুন খারাবি যা হয়েছে আমার বাবা তার প্রতিবাদ করেছে। খুনি তো ছিলো না। তার রক্ত আমার শরিরে আমি একই কাজ করে যাচ্ছি। রনাঙ্গনে নারায়ণগঞ্জের এমন কোনো মুক্তি যোদ্ধা নাই যে আমার বাবার সহযোগিতা পায় নাই। আমার বাবা মায়ের স্বর্নালংকার বিক্রি করছে, জমি বিক্রি করছে। সে টাকা রনাঙ্গনে খরচ করছে। অথচ এখন এমন অনেকে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পায় যারা যুদ্ধেই যায়নি। #