রূপগঞ্জে বিয়ে পাত্রীকে উঠিয়ে নিতে প্রাক্তন প্রেমিকের হামলায় আহত-৮
রূপগঞ্জ প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিয়ের আসর থেকে কনেকে উঠিয়ে নিতে প্রাক্তন প্রেমিক কাউসার তার বাহিনী নিয়ে বিয়ের আসরে স্বসস্ত্র হামলা ভাংচুর চালিয়ে বরপক্ষকে মারধর করে এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জনকে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় কাউসারসহ তার লোকজন বরপক্ষের গাড়ি ভাংচুৃর করে তাদেরকে মারধর করে কনের বাড়ি থেকে বের করে দেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।বুধবার বিকেলে উপজেলার বলাইখা এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। বর্তমানে কনের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। কনের বাবা মহিউদ্দিন হাজী জানান, ভুলতা ভায়েলা এলাকার কাউসার নামে এক যুবক তার মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে (১৮) দীর্ঘদিন উত্তক্ত করে আসছিল। কাউসার ভুলতা এলাকায় ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি করে বেড়ায়।
কাউসারের যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়ে মহিউদ্দিন তার মেয়ে সাদিয়াকে বিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেন। বুধবার দুপুরে মহিউদ্দিনের বাড়িতে ঘরোয়াভাবে বিয়ের আয়োজন করা হয়। সাদিয়ার বিয়ের খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে কাউসার ও তার লোকজন পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে সাদিয়াকে জোর পূর্বক উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। পরে পরিবারের লোকজন তাদেরকে বাঁধা প্রদান করলে তারা হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। বুধবার বিকেলে বরযাত্রী কনের বাড়িতে এসে বিয়ের কার্যক্রম শুরু করতে থাকেন। এসময় কাউসার ও তার বাহিনীর লোকজন পিস্তল ও রামদা, ছেনদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বরযাত্রীর উপর অতকির্ত হামলা চালিয়ে তাদের মারধর করতে থাকে।
বরপক্ষকে বাচাঁতে কনের বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে কাউসার বাহিনী হামলায় পনির, নিপা আক্তার, বৃষ্টিসহ মোট ৮ জন আহত হয়। পরে হামলাকারীরা বরপক্ষের লোকজনকে মারধর করে কনের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এসময় হামলাকারীরা বিয়ের বাড়িতে রান্না করা খাবার ফেলে দেন ও ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। বর্তমানে মহিউদ্দিন তার মেয়ে ও তার পরিবার নিয়ে চরমা নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছে। বুধবার রাতে মহিউদ্দিন রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিতে যেতে চাইলে কাউসার ও তার লোকজন তাদের হুমকি ধামকি প্রদান করেন।স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে সাদিয়ার সঙ্গে কাউসারের প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও এখন নেই। সম্পর্ক না রাখার কারণে কাউসার সাদিয়াকে বিভিন্নভাবে উত্তক্ত করে আসছিল। কাউসার ভুলতা এলাকায় গাউছিয়া মার্কেটের সামনে ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি করেন। কাউসার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলামিন হোসেনের শেল্টারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
কাউসার যুবলীগ নেতা আলামিনের নিয়ন্ত্রণে থাকা ফুটপাতের চাঁদাবাজির টাকা উঠানোর কাজ করেন বলে স্থানীয়রা জানান। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাউসার বলেন, সাদিয়ার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে বরযাত্রীদের উপর হামলা ঘটনা মিথ্যা। এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলামিন হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেস্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ভুলতা ফাড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ধরনের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মেয়ের পরিবারের লোকজন লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #