শিরোনাম
ফতুল্লায় রাজন বাহিনীর হামলায় স্কুলছাত্র গুরুতর রক্তাক্ত জখম
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর সাজাহান রোলিং মিলস এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় ৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সিয়ামকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে রাজন ও মোহনগংদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে সিয়ামের বাবা মো.মাইনুদ্দিন সন্ত্রাসী রাজন-মোহনগংদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,মাইনুদ্দিনের ছেলে সিয়াম (১৯) ফতুল্লা পাইলট স্কুলে ৯ম শ্রেণীতে লেখাপাড়া করে।
১৫ মার্চ সন্ধ্যা পৌনে ৭ টায় আমার ছেলে সিয়াম আমার বর্ণিত ঠিকানার বাসা হইতে বাহির হইয়া দাপা ইদ্রাকপুর শাহজাহার রোলিং মিলস্ এ যাওয়ার পথিমধ্যে ফতুল্লা থানাধীন দাপা ইদ্রাকপুর শাহজাহার রোলিং মিলস্ সাকিনস্থ আর্মি মার্কেটের সামনে পৌছাইলে আমার ছেলের বন্ধু মোঃ তৌফিককে ইদ্রাকপুর এলাকার মৃত.আক্কাস আলীর ছেলে রাজন,সুমন,মোহন,বাবু, একই এলাকার সজল,রুবেল মাহমুদ, লালপুর এলাকার মামুন, কোতালেরবাগ এলাকার আমির হোসেন অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন সন্ত্রাসী ও খারাপ প্রকৃতির লোক মারপিট করিতে থাকা কালে আমার ছেলে সিয়াম প্রতিবাদ করায় বিবাদীগন এক জোটবদ্ধ হইয়া আমার ছেলেকে অতর্কিত ভাবে আক্রমন করিয়া এলোপাথারী মারপিট করিতে থাকে।
১নং বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছেলের মাথার সামনে কোপ মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ২নং বিবাদীর হাতে থাকা ছোরা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছেলের মাথার পিছনে কোপ মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ৩নং বিবাদী লোহার রড দ্বারা আমার ছেলের মুখে আঘাত করিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে আমার ছেলে আঘাত প্রাপ্ত হইয়া রাস্তার উপর লুটাইয়া পড়িলে ৪ হইতে ৮নং বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন বিবাদীরা আমার ছেলেকে এলোপাথারী কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া ও পা দ্বারা পাড়াইয়া আমার ছেলের শীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা রক্ত জমাট জখম করে। আমার ছেলের বন্ধু তৌফিক আমার ছেলেকে রক্ষা করিতে গেলে ৪নং বিবাদীর হাতে থাকা চাকু দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে তৌফিক এর পিঠের ডান পাশে পার মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। অন্যন্য বিবাদীরা তৌফিককে এলোপাথারী পিটাইয়া তাহার দুই হাতে সহ শীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা রক্ত জমাট জখম করে। সংবাদ পাইয়া আমি ও সহ তৌফিকের মা তহুরা বেগম দ্রæত ঘটনাস্থলে গেলে বিবাদীরা আমাদেরকেও এলোপাথারী মারপিট করিয়া নীলাফুলা জখম করে।
১নং বিবাদী আমার পাঞ্জাবীর পকেটে থাকা নগদ ৮,২০০/-টাক এবং ২নং বিবাদী তহুরা বেগম এর গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন মূল্য ৭৫ হাজারটাকা নিয়া নেয়। আমাদের ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদীরা আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করিয়া চলিয়া যায়। বিবাদীরা চলিয়া যাওয়ার পর আমি সহ তৌফিকের মা তহুরা বেগম স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমার ছেলে সিয়াম ও আমার ছেলের বন্ধু তৌফিককে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, খানপুর, নারায়ণগঞ্জ নিয়া চিকিৎসা করানো হয়। #