বন্দরে নারী ব্যবসায়ীকে নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদের অভিযোগ
বন্দর প্রতিবেদকঃ বন্দর নবীগঞ্জে ব্যবসায়ী মনিরা বেগমকে কোন নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মনিরা বেগম জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ এর বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া তিনি গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাননীয় আইনমন্ত্রী, মাননীয় স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ও মাননীয় ভূমিমন্ত্রীর বরাবরে লিখিত স্মারক লিপি বাংলাদেশ ডাকযোগে প্রেরণ করেছেন।
নাসিক ২৪নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ জনতা ব্যাংক শাখার বিপরীত পাশে
এলাকায় নামধারী ছাত্রলীগ সুজন গং ব্যবসায়ী মনিরাকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে জোর পূর্বক উচ্ছেদ করে। এ ব্যপারে সুজন বলেন, আমি অর্থ ঋণ আদালতে নিলাম এর মাধ্যমে ক্রয় করে সম্পত্তির মালিক হয়েছি। এদিকে অন্যন্য ব্যবসায়ীরা বলেন, কিন্তু যদিও সে নিলাম জায়গা কিনে মালিক হয়েছেন। কিন্তু কোন ব্যক্তি ১ যুগেরও বেশী সময় ধরে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করিলে তাকে লিখিত নোটিশ জারী করে অবগতের মাধ্যমে সময় নির্ধারণ করিয়া জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।
সুজন গং সে ব্যবস্থা না করে হঠাৎ করে একজন নারী তিলে তিলে গড়া দীর্ঘ এক যুগ ধরে ব্যবসাটি পরিচালনা করে আসছে। সেই নারীকে গত ১৫ মার্চ নামধারী ছাত্রলীগ পরিচয় দানকারী অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী দোকানে প্রবেশ করে এলোপাথারী ভাবে মালামাল ভাংচুর করে রাস্তায় ফেলে দেয় ও নগদ ২ লক্ষ টাকা এবং একটি মোবাইল সেট লুটে নিয়ে যায়। এছাড়া মনিরা বেগমকে টেসে হেচড়ে শ্লীলতাহানী করে এবং দোকান থেকে বের করে দেয়। ভোক্তভোগী মনিরা বেগম জানায়,
গত ২০১৩ সালের ১৮ মে থেকে শফি প্লাজা ও ফাইভ ষ্টার সমিতির কাছ থেকে নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পের মাধ্যমে নগদ ৪ লক্ষ টাকা জামানত দিয়ে নবীগঞ্জ জনতা ব্যাংক এর বিপরীত পাশের মার্কেটে দোকানটি চুক্তিনামা করে নেয় মনিরা বেগম। দোকানটি চুক্তিনামা করে দীর্ঘ ১ যুগ ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে মনিরা বেগম। এছাড়া সুজন আরো বলেন, আমি নিলামে পাওয়ার পর আদালত থেকে আমাকে দখল বুঝিয়ে দিয়েছে। দখল বুঝিয়ে দেয়া অবস্থায় বন্দর থানার কিছু পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। মনিরা বেগম বলেন, আমি আমার ব্যবসায়িক মালপত্রের ক্ষতিপূরণ ও দোকান বরাদ্দকৃত চুক্তিনামার নগদ ৪ লক্ষ টাকা না পেলে স্বামী সন্তান নিয়া পথে বসতে হবে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। #