আর. পি. সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপন


নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ আর. পি. সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী ২০২৫ উদযাপন ও বিশেষ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ জুন ২০২৫, আর. পি. সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে “রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী ২০২৫” উৎসব অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে।
এই উপলক্ষে বৃষ্টিমুখর সকালে গানের আবহে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠিত হয় এক বর্ণাঢ্য বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠান, যেখানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. প্রিয়াংকা গোপ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনীন্দ্রকুমার রায়।উল্লেখযোগ্য উপস্থিতির মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সরকার হিরেন্দ্র চন্দ্র,কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ডিরেক্টর মহাবীর পতি,ট্রাস্টের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা আবু আলম মোঃ শহীদ খান,আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুল হাসান,বিজনেস ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সম্মানিত ডিনগণ,বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ,সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ এবং প্রিয় শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ফ্যাশন এন্ড ডিজাইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক জনাব তানজিল হাসনাইন মঈন রনীত। তাঁর পরিচালনায় পুরো আয়োজনটি ছিল দৃষ্টিনন্দন, শৃঙ্খলাপূর্ণ এবং অত্যন্ত প্রাঞ্জল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনীন্দ্রকুমার রায় কাজী নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন “রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী শুধু স্মরণের দিন নয়, বরং তাঁদের চেতনা ও আদর্শকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পবিত্র দায়িত্ব। এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করে আমরা সে দায়িত্বেরই অংশীদার হচ্ছি।তাঁদের সৃষ্টিতে আমরা খুঁজে পাই জীবনের গভীর দর্শন, সমাজের জাগরণ, এবং সংস্কৃতির ঐশ্বর্য। তাঁরা দুজনেই আমাদের জাতির গর্ব, আমাদের পথের দিশারি।”
অনুষ্ঠানে ড. প্রিয়াংকা গোপ বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল আমাদের চেতনার দুই মহান বাতিঘর। তাঁদের সৃষ্টি আমাদের আত্মার শক্তি ও সংস্কৃতির পথপ্রদর্শক।”তিনি আরও বলেন, “এই সম্মাননা শুধু আমার জন্য নয়, বরং সকল সংগীতকর্মীর জন্য এক সম্মানের প্রতীক।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি সম্মাননাপত্র ও শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয় ড. গোপের হাতে। পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে রবীন্দ্র ও নজরুলের গান, স্মৃতিচারণে এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়।অনুষ্ঠানে বক্তাগণ তাঁদের বক্তব্যে রবীন্দ্র-নজরুলের কালজয়ী সাহিত্য ও সঙ্গীতের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন এবং নতুন প্রজন্মকে তাঁদের সৃষ্টির মর্ম অনুধাবনের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে ড. প্রিয়াংকা গোপের সুরেলা কন্ঠে পরিবেশিত হয় রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি , যা উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে।
এই আয়োজনের মাধ্যমে আর. পি. সাহা বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষার্থীদের মাঝে সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও সৃজনশীলতা বিকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ রেখেছে। #