শিরোনাম
বিয়ের মিথ্যা আশ্বাসে ছাত্রীকে ধর্ষন করে পালিয়েও শেষ রক্ষা হলোনা উজ্জলের
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষন মামলার আসামী উজ্জলকে (২২) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। ২৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে যাত্রাবাড়ি থানার ধলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে উজ্জলকে গ্রেফতার করা হয়। উজ্জল আড়াইহাজার থানার হাইজাদী ইউনিয়নের হানিফা ধন্দীর ছেলে। আজ ৫ ডিসেম্বর দুপুরে র্যাব-১১- আদমজীনগর সহকারী পরিচালক মিডিয়া অফিসার এএসপি মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একজন মাদ্রাসার ছাত্রী মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে গ্রেফতারকৃত আসামী উজ্জল ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত ও একপর্যায়ে প্রেম নিবেদন করে। পরে ওই ছাত্রী তার প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। বিগত ০৩ মাস পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামীসহ তার অন্যান্য সহযোগিরা পরস্পর যোগসাজশে মাদ্রাসার ছাত্রীকে বিভিন্ন উপায়ে ফুসলিয়ে আসামী উজ্জলের বসতবাড়িতে নিয়ে আসে। পরে ছাত্রীকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর উজ্জল ওই ছাত্রীকে বিবাহের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। যার ফলে ওই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাটি মান সম্মানের ভয়ে প্রকাশ করেনি। এভাবে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও ভয়ভীতি প্রদানের মাধ্যমে প্রায়ই ছাতীকে ধর্ষণ করে আসছিল। এভাবে কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ছাত্রী গ্রেফতারকৃত আসামী উজ্জলের সাথে যোগাযোগ করে বিয়ের কথা বললে, আসামী উজ্জল তাকে বিয়ে করবে না বলে জানায়। এই পাশবিক ও নৃশংস ধর্ষণের ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হলে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় গত ২৪ নভেম্বর মাদ্রাসা ছাত্রীর মা বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৩৪।
ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হওয়ার পর থেকে মামলার প্রধান আসামী উজ্জল কৌশলে আত্মগোপন করে পালিয়ে ছিল। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল উজ্জলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে এবং মামলার হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উজ্জল ধর্ষণের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে।
আসামী উজ্জলের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য তাকে রূপগঞ্জ থানায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। #