শিরোনাম
তীব্র শীতে গরম কাপড় কিনতে উপচে পড়া ভীড় | বিক্রেতার মুখে হাসি
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ হাড় কাঁপানো শীতে শীতার্ত মানুষের গরম কাপড় ক্রয়ে উপচে পরা ভীড়। ৭ জানুয়ারী শনিবার দুপুরে ২নং রেল গেইট এলাকার ফুটপাত সহ সারা শহরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। শীতার্থ ক্রেতারা বলছে তীব্র শীত বাড়ায় গরম পোশাক কেনা জরুরী হয়ে পড়েছে। ফুটের বিক্রেতারা বলছে শীত বড়ায় বেচাকেনা বেড়েছে। আমরা খুশি এবছর আর দেনার তলে পড়তে হবে না।
নারায়ণগঞ্জে গত দুদিন যাবত হিমেল হাওয়াশ শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আজ শনিবার গভীর রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত অসহনীয় শীতের তীব্রতায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে কর্মপ্রতিষ্ঠানে। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। কোয়াশা আচ্ছন্ন হিমেল হাওয়ায় অসহনীয় শীতে সকালে অধিকাংশ কর্মপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। শহরে জনসাধারনের চলাচল কম ছিল। পাড়া মহল্লায় মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে কম। গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ সাধারন মানুষ তীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে শীতের গরম কাপড় পরিধান করেছে বেশি। শীতের গরম পোশাক ক্রয় করতে দেখা গেছে অনেককেই। আজ দুপুর পর্যন্ত গুগোলের জড়িপ অনুযায়ী দুপুরে তাপমাত্রাছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটা রাতে নেমে সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসার আভাস দেওয়া হয়েছে।
শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট বেড়েছে। বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষ, খেলে খাওয়া দিনমজুর রাস্তার ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী রিকসা চালকদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ জানিয়েছে, এই প্রচন্ড শীতে নিরুপায় হয়ে ঘর থেকে কাজে বেরুতে হচ্ছ। কাজ না করলে না খেয়ে থাকতে হবে।
হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ায় কমেছে তাপমাত্রা। আর এই তীব্র শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়েরিয়াসহ বিভিন্ন রোগবালাই। এর ফলে প্রতিদিনই হাসপাতালগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে রোগীর সংখ্যা। বাড়তি রোগী সামাল দিতে তাই হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
রোগীর স্বজনরা জানান, শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। অনেক বাবা-মা জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়েরিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। এছাড়া নানা বয়সী মানুষ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তীব্র শীতের কারণে শিশুরা নিউমোনিয়া ও বড়রা অ্যাজমায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালে রোগীও বাড়ছে প্রায় চার গুণ। এদের মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। #