মধুমতি সেতুতে ৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা টোল আদায়
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কালনা পয়েন্টে মধুমতি সেতুর উদ্বোধনের পর শুরু হয়েছে যানচলাচল। উদ্বোধনের পর গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জাহার ৫৭৬টি যানবাহন এই সেতু পারপার করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা।গত সোমবার (১০ অক্টোবর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মধুমতি সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর একই দিন রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় নব নির্মিত সেতুটি। এরপর থেকে এ সেতু পার হয়ে নড়াইল, যশোর, বেনাপোল স্থল বন্দর, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়েত করছে বিভিন্ন যানবাহন। এশিয়ান হাইওয়ের ওপর অবস্থিত হওয়ায় সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সিলেটের তামাবিল হয়ে ঢাকা, ভাঙ্গা, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, কোলকাতা পর্যন্ত সরাসরি যোগাযোগে ভূমিকা রাখছে এ সেতু।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার রাত ১২টা থেকে গত মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৫৭৬টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পার হয়েছে মধুমতি সেতু। এসব যানবাহন থেকে ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৫৫ টাকার টোল আদায় হয়েছে।যাত্রী আমজাদ হোসেন বলেন, নড়াইল থেকে মোটরসাইকেল করে গোপালগঞ্জ যাচ্ছি। সেতুতে ১০ টাকা টোল দিয়েছি। আগে নদী পার হতে গিয়ে ভোগান্তিতে পরতাম। এখন সহজেই গোপালগঞ্জ যেতে পারছি।অপর যাত্রী সাবিনা বেগম বলেন, মধুমতি সেতু চালু হওয়ার পর কোনো ভোগান্তি ছাড়াই নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা যাচ্ছি। সেতু হওয়ায় আমাদের যেমন দুর্ভোগ কমেছে তেমনি দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছি।বাস চালক হাসেম আলী বলেন, আগে মধুমতি নদী পার হতে ফেরির জন্য অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করতে হতো। এখন সহজেই নদী পার হলাম। এতে আমাদের পাশাপাশি যাত্রীরাও ভোগান্তি হাত থেকে রেহাই পেলো।মধুমতি সেতু, টোলিং সিস্টেম প্রজেক্ট ম্যানেজার আতিকুল ইসলাম আতিক বলেন, এশিয়ান হাইওয়ের ওপর অবস্থিত হওয়ায় সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সিলেটের তামাবিল হয়ে ঢাকা, ভাঙ্গা, নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, কোলকাতা পর্যন্ত সরাসরি যোগাযোগে ভূমিকা রাখবে এ সেতু। সেতুতে থাকা ৮টি টোল বুথে তিন শিফটে ২৪ জন কাজ করছেন। তবে এখন ৫টি বুথ চালু রয়েছে। টোল আদায়ের তথ্য সরাসরি অ্যাকাউন্ট ম্যানেজারের কাছে চলে যাওয়ায় জালিয়াত রোধ করা সম্ভব হবে।গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, মধুমতি সেতুটি যোগাযোগ ও অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। মধুমতি সেতু চালু হওয়ার পর গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৫৭৬টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পার হয়েছে। আর এসব যান বাহন থেকে ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৫৫ টাকার টোল আদায় হয়েছে।