শিরোনাম
পশ্চিম মাসদাইরে নতুন আতংক সুইচ গিয়ার সানি !
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ ছেলেটির নাম মো.সানি,পিতার পরিচয় বর্তমানে নেই বললেই চলে। মাতা মনোয়ারা বেগম একজন কলা বিক্রেতা। সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম মাসদাইর প্রাইমারী স্কুল এলাকার আশপাশে বর্তমানে সানি একটি আতংকের নাম। স্থানীয় এক প্রভাবশালী এমপির ছেলের শ^শুর বাড়ির আত্মীয়’র শেল্টাওে সানি বর্তমানে এতটাই বেপরোয়া যে তাকে সামাল দেয়াটা অনেকটাই দুরহ ব্যাপারে দাড়িয়েছে। আর সানির হাতে সবসময় একটি সুইচ গিয়ার চাকু থাকে বলে স্থানীয়রা ওকে নাম দিয়েছে সুইচ গিয়ার সানি।
সরেজমিনে উক্ত এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের কাছে জানা যায়, কয়েক বছর পুর্বে সানি তার মা মনোয়ারার সাথে অত্র এলাকায় আসেন। পশ্চিম মাসদাইর প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন মীর বাড়ির ভাড়াটিয়া সানি’র টার্গেট হচ্ছে গার্মেন্টস এ কর্মরত নিরীহ নারী-পুরুষ। গার্মেন্টস ছুটি হলেই শুরু সানির অপরাধের রামরাজত্ব। নিরীহ গার্মেন্টস কর্মীদের আটক করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়াটাই যেন সানির নিত্যনৈমিত্তিক কাজ। যিদ কেউ দিতে অপারগতা প্রকাশ করে তাহলে তাকে কাছে থাকা সুইচ গিয়ার দিয়ে আঘাত করে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়া হয় শরীরের বিভিন্ন অংশ। গত প্রায় ১০ দিন পুর্বে মাসদাইর খানকামোড় এলাকায় এক গার্মেন্টস কর্মীকে আটক করে জব্বার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কের গলিতে নিয়ে এক গার্মেন্টস কর্মীর একটি এন্ড্রয়েট মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলা হলে উক্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিসাধন করা হবে বলেও হুমকী প্রদান করা হয়। স্থানীয়রা জানান,সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অত্র এলাকায় চলে সানির এসকল অপরাধ কর্ম।
সানির পেছনে শেল্টারদাতা হিসেবে রয়েছে এক প্রভাবশালী এমপির পুত্রা বলে জানান তারা। যদি কেউ সানির অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন তাহলে প্রায় এক থেকে দেড় শতাধিক উঠতি বয়সী ছেলেদেরকে নিয়ে মহড়া দেন এ সানি আর জানিয়ে দেন তার প্রভাবের কথা। তারা আরও বলেন,সানির এক ভাইও এরুপ প্রকৃতির ছিলো। এ সকল অনৈতিক কাজের ফলে প্রায় কয়েক বছর পুর্বে তার ভাইকেও ঢাকায় হত্যা করা হয়েছিলো। সেই ভাইকে ঢাকায় হত্যাকান্ডের পরে মা মনোয়ারাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের এ মাসদাইরে প্রবেশ করে সানি আর শুরু করে অপরাধকর্ম।
সুইচ গিয়ার সানির এরুপ অত্যাচার থেকে বাচঁতে ভুক্ত সাধারন মানুষ ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ও র্যাব-১১’র সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন। #