স্বামী-শাশুড়ির মিথ্যা মামলায় হয়রানি গৃহবধু বৃষ্টির পরিবার
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ নিজ মেয়েকে বিয়ে দিয়ে অনেকটাই বিপদে পড়েছেন বাবা মো.বাবু। জামাতা তৌফিকুল ইসলাম ও তার মা কুলসুম বেগমের একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ ও আদালতে মামলা করাটা যেন রীতি-রেওয়াজে পরিনত করে তুলেছে মা ও ছেলে। ভুক্তভোগী বাবা মো.বাবু জামাতা ও তার মায়ের বিরুদ্ধেও আদালতে মামলা ও লিগ্যাল এইড নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক আপোষ-মিমাংশার মাধ্যমে বিরোধ নিস্পত্তি সংক্রান্ত চুক্তির টাকা পরিশোধের পরিবর্তে উল্টো ছেলেকে অন্যত্র সরিয়ে রেখে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের এবং আদালতে মামলা করে বাবুর পরিবারকে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে বিয়াইন কুলসুমের বিরুদ্ধে।
সুমাইয়া আক্তার বৃষ্টির পিতা বাবু ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মিশনপাড়া এলাকার মো.কালু মিয়া ও কুলসুম বেগম দম্পত্তির ছেলে তৌফিকুল ইসলামের সাথে ইসলঅমী শািরয়াহ মোতাবেক বিবাহ দেন। বিয়ের পর থেকেই মেয়ের জামাই ও শাশুড়ী যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে নানাভাবে অত্যাচার শুরু করে। এ ২০২৩ সালের ৬ মে মেয়ের জামাই ও তার মা স্ত্রী বৃষ্টির বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন তাদের সম্মানহানীর জন্য। পরে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মিমাংশা হওয়ার পর তার মেয়ে বৃষ্টিকে পুনরায় জামাই বাড়ি নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জামাতা ও তার মা উভয়ে মিলে আমার মেয়েকে শারীরিক ও মানষিক অত্যাচার শুরু এবং আমাদেরকে বলেন যে,বøাংক স্টাম্পের মাধ্যমে যেন আমার মেয়েকে নিয়ে আসতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে আমার মেয়ে স্বামী তৌফিকুল ইসলাম মিয়া ও শাশুড়ি কুলসুম বেগমের বিরুদ্ধে মোকাম বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী ২নং আদালত নারায়ণগঞ্জ এও একটি সিআর মামলা দায়ের করেন যার নং ৭৭১/২০২৩ইং। আদালত আসামীদেরকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পনের নির্দেশও প্রদান করেন। পরবর্তীতে জাতীয় আইনগত সহায়তা লিগ্যাল প্রদান সংস্থা এইড নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক আপোষ-মিমাংশার মাধ্যমে বিরোধ নিস্পত্তি সংক্রান্ত চুক্তি অনুযায়ী ( সিআর মামলা নং ৭৭১/২০২৩,বিজ্ঞ আমলী আদালত নং ২,নারায়ণগঞ্জ এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষকে সমন ইস্যু করা হয় এবং উভয় পক্ষের সম্মতিতে আপোষ-মিমাংশার উদ্দ্যোশে ১লা নভেম্বর ২৩ইং তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উভয় পক্ষের সম্মতিতে আসামী বাদীকে তার দেনমোহর ও ইদ্দতকালীন ভরপোষন বাবদ সর্বমোট ২লক্ষ ১০ হাজার টাকা ৩টি কিস্তির মাধ্যমে অত্র অফিসে উপস্থিত হয়ে নগদে পরিশোধ করার নির্দেশনা দেন।
কিন্তু গত ২৬ নভেম্বর ধার্য্যকৃত ১ম কিস্তির টাকা পরিশোধ না করে মা ও ছেলে মিথ্যার আশ্রয় নেয়। এর পর ছেলেকে অন্যত্র লুকিয়ে রেখে বৃষ্টির পিতা বাবুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা ও ফতুল্লা মডেল থানায় দুটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন তৌফিকুলের মা কুলসুম বেগম। শুধু তাই নয় বাবুসহ উক্ত ৫ জনের বিরুদ্ধে মোকাম বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী ২নং আদালত নারায়ণগঞ্জ এ একটি সিআর মামলা করেন কুলসুম বেগম যার নং ৫০৫/২০২৩ইং।
এ বিষয়ে সুমাইয়া আক্তার বৃষ্টির পিতা বাবু বলেন, লিগ্যাল প্রদান সংস্থা এইড নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক আপোষ-মিমাংশার টাকা পরিশোধের ১ম কিস্তির টাকা তারা পরিশোধ করেননি। তারা মিথ্যা অযুহাত দেখিয়ে ছেলেকে অন্যত্র সরিয়ে রেখে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয় কয়েকজন এ বিষয়ে আমাদেরকে সহায়তার কারনে তাদের ভেতর থেকে একজনের বিরুদ্ধেও মামলা ও অভিযোগ করেন কুলসুম বেগম। তিনি আরও বলেন,কুলসুম বেগম নিজের ছেলেকে অন্যত্র সরিয়ে রেখে আমাদেরকে হেনস্থা করছেন এবং প্রতিনিয়ত চাপের মুখে রেখেছেন। এমতাবস্থায় জেলা পুলিশ সুপার ও মহামান্য আদালতের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি তারা যেন বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে তাদের লুকিয়ে রাখা ছেলেকে উদ্ধার এবং আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর কারনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।#