শিরোনাম
কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে জখম স্বর্ণালংকার লুট
বন্দর প্রতিবেদকঃ বন্দরে কলেজ ছাত্র সুজন(১৯) ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে কুপিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাটসহ বাড়ি-ভাংচুর করে তান্ডবনীলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে ডাকাত সর্দার মামুন ও তার ভাই মাদক সম্রাট আল আমিন গংএর বিরুদ্ধে । গত বৃহস্পিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধা ৭টায় বন্দর থানার ২৬ নং ওয়ার্ডের রামনগর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বন্দর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। কলেজ ছাত্র সুজন গণমাধ্যমকে জানান, কিছুদিন পূর্বে ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে নিয়ে মাদক নির্মুল র্যালি করার উদ্যোগ নেয়। এ কারণে মাদক ব্যবসায়ী আল আমিন ও তার ভাই ডাকত সর্দার মামুন ক্ষিপ্ত হয় কলেজ ছাত্র সুজন এর পরিবারের ও এলাকার মানুষদের নির্যাতন করে আসছে।
এর জের ধরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আল আমিন ও তার ভাই ডাকত সর্দার মামুন বাড়িতে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে এ সময় সুজনের পিতা শহিদুল ইসলাম প্রতিবাদ করলে আল আমিন ও ডাকাত মামুন এর হাতে থাকা রাম দা চাপাতি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বসত বাড়িতে প্রবেশ করে রান দা দিয়ে কলেজ ছাত্র সুজন এর পিতা শহিদুল ইসলাম কে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে। সুজন এর বড় ভাই শাওন ও তার মাতা শাহনাজ বেগম সহ ছোট বোন সামিয়াকে এলোপাথারি মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। মাদক ব্যবসায়ী আল আমিন এর হাতে থাকা রাম দা দিয়ে শাওন তার পিতা শহিদুল ইসলাম এর ডান পায়ে কুপিয়ে জখম করে। ডাকাত সর্দার মামুন কলেজ ছাত্র সুজন এর মাতা শাহানাজ বেগম এর ডান চোখে ও পায়ে কুপিয়ে জখম করে। তাদের হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে ছোট বোন সামিয়ার হাতে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। কলেজ ছাত্র সুজন আরো বলেন, আমার ঘরের সব আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং ঘরে থাকা আলমারি থেকে নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও ৩ লাখ টাকার স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়। আহতদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী সুজন ও তার পিতাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল পাঠায়।
ডাকাত সর্দার মামুন ও তার ছোট ভাই মাদক সম্রাট আল আমিনের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ এলাকাবাসী আরো বলেন, রাত হলেই রামনগর এলাকার চুরি ডাকাতি ছিনতাই করে ডাকাত মামুনের নেতৃত্বে আর আল-আমীন এর নেতৃত্বে দিনবর চলে এলাকায় মাদক ব্যবসা তাই এলাকাবাসী আরো বলেন বন্দর থানাতে একাদিক মামলার আসমী আল আমিন ও তার বড় ভাই ডাকাত মামুন। কলেজ ছাত্র সুজনের বড় ভাই শাওন বাদী হয়ে আল-আমীন, ডাকাত,মামুন,আনু,মনির,কিশোরগ্যাং,রাব্বি,জিসান, মান্নান,আবির,শহীদ,শুক্কুর,সোহান, সবুজ,দিপুকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এলাকাবাসী এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।#