শিরোনাম
কদম রসুল কলেজে ২৪ সদস্য বিশিষ্ট জুলাই ব্রিগেড কমিটি ঘোষনা
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ সামির হাসান সিয়ামকে সভাপতি ও সুরাইয়া আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৪ সদস্যবিশিষ্ট জুলাই ব্রিগেড সরকারি কদম রসুল কলেজ শাখা কমিটি ঘোষনা হয়।
সরকারি কদম রসুল কলেজে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতসহ শিক্ষার্থীদের মেধা মনন বিকাশে ও সরকারি কদম রসুল কলেজ ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারীদের বিভিন্ন সংকটে পাশে থাকার আহŸবান জানান জুলাই ব্রিগেড সরকারি কদম রসুল কলেজ শাখার নেতৃবৃন্দ।
আজ ২৮ নভেম্বর ‘২৮ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জুলাই ব্রিগেড সরকারি কদম রসুল কলেজ শাখার পক্ষ থেকে সাংগঠনিক বৈঠকের মাধ্যমে সামির হাসান সিয়ামকে সভাপতি ও সুরাইয়া আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম, ইফতি আহম্মেদ জিহাদ সমন্বয়ে ২৪ সদস্যবিশিষ্ট জুলাই ব্রিগেড সরকারি কদম রসুল কলেজ শাখা কমিটি ঘোষনা হয়।
সভাপতি: সামির হাসান সিয়াম
সহসভাপতি: নায়েম হাসান নিহাদ
সহসভাপতি : সাইফুল ইসলাম তানভীর
সাধারণ সম্পাদক: সুরাইয়া আক্তার
যুগ্ম সাধারন সম্পাদক: আসিফ আহম্মেদ
সাংগঠনিক সম্পাদক: সিনহা আক্তার তানহা
অর্থ সম্পাদক: মাইমুনা আক্তার মিলা
দপ্তর সম্পাদক: শাহ আলম
প্রচার সম্পাদক: মোহাম্মদ বাপ্পি
ক্রীড়া সম্পাদক: ফেরদাউস রহমান
সাংস্কৃতিক সম্পাদক: আনিকা রহমান
প্রকাশনা সম্পাদক: টিনা জাহান হালিমা
পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক: সুমাইয়া আক্তার
সদস্য:
১। আহমেদ রবিন স্বপ্ন
২। মাইশা জাহান
৩। ফাহিমা আক্তার
৪। আরিশা রহমান
৫। তৈয়্যবা আক্তার
৬। খালিদ আহম্মেদ
৭। সায়েম আব্দুল্লাহ
৮। আলিফ আহম্মেদ
৯। আশামনি আদিবা
১০। আরিয়ান রিফাত
১১। তামিম হাসান
জুলাই ব্রিগেড সরকারি কদম রসুল কলেজ শাখার উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম বলেন গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে আইনজীবী শফিকুল ইসলাম আলিফের নৃশংস হত্যার ঘটনায় তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং অবিলম্বে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, নানা স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী স্যোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও সহিংসতা তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এবং এই পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তৎপরতার অভাব ও দায় এড়ানোর চেষ্টা উদ্বেগজনক। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ছাত্র, শ্রমিক, এবং জনতার এক অভূতপূর্ব ঐক্যের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুঃশাসন হঠানোর জন্য যে জুলাই অভ্যুত্থান সম্ভব হয়েছিল, সাম্প্রতিক সহিংসতা তার মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। তবে সাম্প্রদায়িক উস্কানি তৈরি করে মানুষে মানুষে বিভাজন তৈরির এই অপপ্রয়াস নতুন নয়। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরির সংকট, তরুণদের প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থানের অভাব গণমানুষের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। শাসকশ্রেণী বরাবরই জনগণের প্রকৃত সংকট পাশ কাটাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে, মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত বিভাজন তৈরি করতে চেয়েছে। ফলে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানি, উন্মাদনা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। বিভাজন তৈরির সকল রকম অপচেষ্টা রুখে দিয়ে শোষণ-বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের লড়াই শানিত করতে হবে। #