শিরোনাম
মৎস্য চাষ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪ গ্রেফতার-২
বন্দর প্রতিবেদকঃ নারায়নগঞ্জ বন্দর উপজেলার ধামগড় কাজীপাড়া এলাকায় মৎস্য চাষকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন আহতের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে বন্দর থানা পুলিশ। মামলার সূত্রমতে, বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউপির কাজীপাড়া এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী আবু জাহের আলী ২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০.০০ ঘটিকায় বাড়ি থেকে পাশ্ববর্তী তার মাছের খামার যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে সেখানে উৎ পেতে থাকা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিবাদী মৃত এনায়েত আলীর ছেলে নান্নু মিয়া(৪৫) মোঃ আনোয়ার হোসেন (৪২) পিতা-হামজা মোঃ নাঈম(২০) পিতা-আইয়ুব আলী বিজয় (১৯) পিতা, মোঃ আনোয়ার হোসেন মোঃ তাজুল ইসলাম (২৮) পিতা-মোঃ ফিরোজ মিয়া, সর্বসাং কুচিয়ামোড়া কাজীপাড়া, পোঃ-অলিপুরা বাজার, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়নগঞ্জ। তাহারা কাজীপাড়া স্কুল সংলগ্ন বাড়ির পাশের রাস্তায় আবু জাহের আলীর পথরোধ করে। এসময় জাহের আলীর সাথে মাছ চাষের বিষয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য কাধের ডান পাশে কোপ মারিলে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম প্রাপ্ত হইয়া মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। ৫নং বিবাদী জাহের আলীর বুকের উপর বসিয়া তাহার হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে বারি মারিয়া দাত ভাঙ্গা গুরুতর জখম করে। ২নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় বাড়ি দিয়ে গুরুতর জখম করে। ৩ ও ৪ নং বিবাদী ধারালো চাপাতি দিয়ে নাকে মুখে কোপ মারিয়া মারাত্মকভাবে আহত করে। এভাবে তাহাদের বাড়ির মহিলা সহ জাহের আলীকে আরো কিল ঘুষি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম করে ফেলে রাখে । বিবাদীদের একের পর আক্রমনে জাহের আলীর ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসিতে থাকিলে ৩ ও ৪নং বিবাদী জাহের আলীর পকেটে থাকা নগদ পচিশ হাজার টাকা ও বাইশ হাজার টাকা মূল্যের এন্ড্রয়েট মোবাইল সেট সিনিয়ে নিয়ে যায়। এবং কোন প্রকার মামলা মোকদ্দমা না করতে হুমকি দিয়ে যায়। যদি করে তাহলে ভবিষ্যতে খুন গুম করিয়ে ফেলিবে। খবর পেয়ে জাহের আলীর স্ত্রী ও আত্বীয় স্বজন ছুটে এসে সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। একই দিন রাত ৮.১৫ ঘটিকার সময় জাহের আলীর স্ত্রী নাসরিন বেগম বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ সহ মামলা দায়ের করেন। তবে ১ও ২নং বিবাদী জাহের আলীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করতে গেলে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার তাদের গ্রেফতার করে। বন্দর থানার মামলা নং ৩(১২)২২। এ বিষয়ে বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিকের সাথে কথা হলে তিনি জানান মামলা হয়েছে। ১ও ২নং আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের ও গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।#