শিরোনাম
চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তরিকুল সুজনের উপ হামলা চালিয়েছে | প্রতিবাদ মিছিল
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনের উপর চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। রোববার ১৭ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯ টার দিকে শহরের আল্লামা ইকবাল রোডে (কলেজ রোড) এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আহত তরিকুল সুজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সম্প্রতি একই স্থানে সন্ত্রাসীদের হাতে ছাত্রদলের ৪ নেতাকর্মী আহত হয়েছিল। প্রশাসনের নিস্ক্রীয়তায় আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। নিরেপক্ষ তদন্ত করলেই পুলিশ এই সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারবেন বলে তারা দাবি করেন।
এদিকে হামলার ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে শহরে প্রতিবাদ মিছিল করেছে গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
হামলার শিকার তরিকুল সুজন বলেন, তিনি আল্লামা ইকবাল রোডের পাশের সড়কে একটি দোকানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলেন। এমন সময় বৃষ্টি নামলে দৌঁড়ে সরকারি তোলারাম কলেজের উত্তর দিকে তাঁর মালিকানাধীন রেস্তোরাঁর নিচ তলায় গিয়ে দাঁড়ান।
ওই সময় সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করা কয়েকজন যুবক অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে এলোপাথারিভাবে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। হামলাকারী ওই দুই যুবক কিল-ঘুষি মারতে থাকে আর বলে বেশি বাইড়া গেছো, নারায়ণগঞ্জে থাইকা কার নামে কী কও বোঝো?’ আমি মনে করছি, আগে থেকেই তারা আমাকে ফলো করছিলো। তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত। নারায়ণগঞ্জের মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা বিচার দাবিসহ বিভিন্ন নাগরিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা রাখছি। তার এসব রাজনৈতিক বক্তব্য ও কার্যক্রমের কারণে প্রতিপক্ষ কেউ এই হামলা করেছে বলেন গণসংহতির এই নেতা দাবি করেন। গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস বলেন, আমাদের দল গণসংহতি আন্দোলন জনগণের পক্ষে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এই আন্দোলনের কারনে জনবিরোধী যে গোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা হচ্ছে তারাই এ হামলা করেছে। আমরা এ হামলার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
এরআগে গত ১৪ জুলাই আল্লামা ইকবাল রোডে ছাত্রদলের চার নেতাকে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতারা। এই সময় সংবাদ সংগ্রহে গেলে গণমাধ্যমকর্মীরাও হামলার শিকার হন। ওই ঘটনার উল্লেখ করে অঞ্জন দাস আরও বলেন, কয়েকদিন আগে একইভাবে একই জায়গায় ছাত্রদলের নেতাদের পেটায় ছাত্রলীগের নেতারা। ওই ঘটনারও কোন বিচার হয়নি। প্রশাসনকে বলবো, জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়ে এসব হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আর যারা হামলা করছেন, তাদের বলবো, হামলা করে কন্ঠরোধ করা যায় না। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম বলেন, হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। #