নারায়ণগঞ্জ  বুধবার | ২রা এপ্রিল, ২০২৫ | ১৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বসন্তকাল | ৩রা শাওয়াল, ১৪৪৬

শিরোনাম
  |   আড়াইহাজারে বিএনপির যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষ আহত ১০   |   কাশীপুরে যুবককে গুলি করে হত্যা   |   ঈদের দিন বিএনপি অফিসে হামলা, গণমাধ্যম কর্মীকে কুপিয়ে জখম   |   যুগের নারায়ণগঞ্জ ডটকম-এর তৃতীয় বর্ষপূতি উদযাপন   |   আড়াইহাজারে অপরাধ নিয়ন্ত্রনে ওসির জোরালো তৎপরতা    |   বুটবল তারকা হামজা চৌধুরীর পরিবার ঘুরে গেলেন কুতুব উদ্দিন আকসিরের বাড়ি   |   ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কয়েল কারখানায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির   |   নুরুল ইসলাম স্মৃতি পাঠাগারের গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত   |   সাংবাদিক প্রীতির সহযোগিতায় সৌদি থেকে ফিরল শায়েরার মরদেহ   |   বন্দরের যুবক সাইফুল নিখোঁজ   |   ৫০০ পিছ ইয়াবাসহ সুজন গ্রেপ্তার   |   রাজধানীতে ধর্ষণকারীকে পিটিয়ে হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা   |   প্রয়াত বিমান ভট্টাচার্য্যের পরিবারকে না’গঞ্জ প্রেস ক্লাবের পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান   |   রোহীঙ্গা সশস্ত্র সংগঠন আরসা প্রধান জুনুনী সহ ১০ জন আটক    |   গণঅভ্যুত্থানে হামলা ২৮৯ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সাময়িক বহিষ্কার   |   ব্রহ্মপুত্র নদে ভেসে উঠলো যুবকের মরদেহ   |   আ’লীগ নেতার মুক্তির দাবীতে থানা ঘেরাও    |   লায়ন রানাকে সমর্থন দিয়ে ভোট চাইলেন অধিকাংশ লায়ন্স ক্লাবের নেতৃবৃন্দ   |   ভয় দেখিয় যুবককে বলাৎকার | মামলার আসামী সাঈদ আটক   |   বন্দর প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত 
 প্রচ্ছদ   বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি   রক্ত দানেই তাঁর আনন্দ, দিয়েছেন ১৮৬ বার
রক্ত দানেই তাঁর আনন্দ, দিয়েছেন ১৮৬ বার
  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি || নারায়ণগঞ্জেরখবর.কম
প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২

‘স্বদেশের উপকারে নেই যার মন, কে বলে মানুষ তারে পশু সেই জন’ কিংবা ‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে’- এই পঙ্‌ক্তিগুলো হৃদয়ে গেঁথে নিয়েছেন জাবেদ নাসিম। রোগীর পাশে দাঁড়ানো তিনি কর্তব্য বলে মনে করেন। এ জন্য নিয়ম মেনে রক্ত দিতে তার দ্বিধা নেই। বরং অনেক বছর থেকেই হাসিমুখে কাজটি করছেন তিনি। এর বাইরেও সমাজকর্মী হিসেবে তার আলাদা পরিচিতি রয়েছে।জাবেদ নাসিম প্রসঙ্গে পরিচিতজনেরা বলেন তিনিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশিবার রক্ত দেওয়া সমাজকর্মী। ১৯৮৬ সাল থেকে তিনি রক্তদান করছেন। এ পর্যন্ত ১৮৬ বার রক্ত দিয়েছেন। এর মধ্যে ১২৬ বার ফুল ব্যাগ এবং ৫৭ বার শিশুদের রক্ত দিয়েছেন। তিনবার প্লাটিলেট দিয়েছেন। শিশুদের রক্ত দিলে বড়দের দেওয়ার জন্য সময় নিয়েছেন তিন মাস, অন্যদিকে বড়দের রক্ত দেওয়ার পরও এ নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করেছেন তিনিজাবেদ নাসিম ১৯৬৮ সালের ২৭ অক্টোবর কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। জুরাইনে কেটেছে বাল্যকাল। ঢাকার নারিন্দা সরকারি হাই স্কুল থেকে এসএসসির পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব আর্টস সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি বেসরকারি চাকরিজীবী, পাশাপাশি সামলাচ্ছেন এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা।জাবেদ নাসিম যখন যুবক তখনও দেশে মুঠোফোন আসেনি। ফেইসবুক তো ভাবাই যায় না। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তিনি দেখতে পেতেন মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজন। সেই বিজ্ঞাপন নাড়া দিতো তার নরম হৃদয়ে। সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত হন তিনি। কোনো মুমূর্ষু রোগীকে বিনামূল্যে রক্ত দেওয়ার পর যে হাসি তার ঠোঁটে দেখতে পান, সেই হাসিই তার অনুপ্রেরণা। সেই প্রশান্তি বুকে নিয়ে তিনি কাজ করছেন।রক্ত দিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছুটে গিয়েছেন জাবেদ নাসিম। রক্ত দিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি আবেগাপ্লুত হন গাইবান্ধা গিয়ে। এক শিশুকে রক্ত দেওয়ার জন্য সেখানে হাজির ছিলেন ১৪ জন রক্তদাতা। ১৪ জনের মধ্যে থেকে সেই শিশু নাসিমকে বেছে নেন। রক্ত দেওয়ার পর সেই শিশু তাকে শুভেচ্ছাও জানায়। দিনটি ছিল বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এই স্মৃতি তার জীবনের অন্যতম ভালোবাসার স্মৃতি বলে রাইজিংবিডিকে জানান নাসিম। । দেশের বিভিন্ন সংগঠন থেকে নাসিম রক্তদাতা সম্মাননা পেয়েছেন। দেশের রক্তদাতা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোতে তিনি ‘দাদুভাই’ নামে পরিচিত। এ ছাড়াও ২০১৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশ কুমিল্লা জেলা থেকে পেয়েছেন আইজিপি সম্মাননা।জাবেদ নাসিম মরণোত্তর চক্ষুদান করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি নিজে একটি আশ্রম পরিচালনা করেন। আশ্রমে ঠাঁই হয় পরিত্যক্ত নবজাতকদের। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া সেইসব নবজাতকদের বুকে তুলে নেন তিনি। ঠাঁই দেন নিজ হাতে গড়া আশ্রমে। এই আশ্রমের কোনো নাম দেননি তিনি, আশ্রমে নানা বয়সী প্রায় ৫০টি সন্তান রয়েছে, যাদের বাবা-মা নেই।জাবেদ নাসিম বলেন, আমি মানুষকে রক্ত দিয়ে আনন্দ পাই। যেখানে যখন রক্তের প্রয়োজন হয় আমি ছুটে যাই। সারাজীবন আমি রক্ত দিয়ে যেতে চাই, আল্লাহ যতদিন ভালো রাখবেন।

গাছ লাগান পরিবেশ বাচাঁন, যোগাযোগ ভাই ভাই নার্সারী মোবাইল – ০১৭১২২৫৬৫৯১

ফেইসবুকে আমরা

এ সম্পর্কিত আরো খবর...

error: Content is protected !!
error: Content is protected !!