নারায়ণগঞ্জ  রবিবার | ১৬ই নভেম্বর, ২০২৫ | ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ হেমন্তকাল | ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭

শিরোনাম
  |   প্রীতি ফুটবল ম্যাচে সোনালী সকাল ক্রীড়া ও সেবা সংঘের জয়   |   বিশ্ব ডায়াসেটিক দিবসে সচেতনতা র‍্যালী, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা আলোচনা সভা    |   জনগণ আ’লীগের ডাকা লকডাউনে সামান্য পরিমাণও সাড়া দেয়নি – এ্যাডঃ সাখাওয়াত   |   মসজিদ আল্লাহর ঘরে আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী সবাই ইবাদত করবেন – এড. আনোয়ার   |   লকডাউনে নাশকতা এড়াতে র‌্যাবের চেকপোস্ট ও টহল কঠোর নজরদারি   |   লকডাউনের বিরুদ্ধে যুবদল নেতা রিয়াদ ও সাইফুলের অবস্থান কর্মসূচি পালন   |   আওয়ামীলীগের লকডাউন ঠেকাতে মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল   |   ৪ আসনে মোহাম্মদ আলীকে এমপি প্রার্থী’র মনোনয়ন চাইলেন তৃনমূল মুক্তিযোদ্ধারা    |   বন্দরে দেশের বিশ্বস্ত ও স্বীকৃত সেফটি ট্রেনিং প্রতিষ্ঠানের শুভ উদ্ধোধন    |   দলের সিদ্ধান্তই আমাদের একমাত্র পথনির্দেশনা – মাসুদুজ্জামান মাসুদ   |   ১৩ নভেম্বর গণহত্যার রায়ে লকডাউন আহ্বানের বিরুদ্ধে টিপু’র বিশাল মিছিল   |   বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ শাহ আলমের গণসংযোগে ব্যাপক সাড়া   |   জুলাই আন্দোলনে শহীদের শিশু সন্তানের হাতে দিয়ে নমিনেশন সংগ্রহ জাবেদ আলম   |   উদাসীনতায় বন্দর ২০নং ওয়ার্ডের ১০০ফিট সড়কে ময়লা-আবর্জণার স্তূপ    |   মাদক মামলায় এজ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ   |   মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে ডিসির মাতৃস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে কার্যকর উদ্যোগ   |   বিডিএস জরিপে ব্যক্তিগত সম্পত্তি রাস্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন   |   মাসুদুজ্জামানের পক্ষে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি হাজির হবেন – সেন্টু   |   শহীদ জিয়া শুধু রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেননি দেশের ক্রান্তিকালে হাল ধরেছেন – মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন   |   পীরজাদা মারুফ সিরাজ শাহর জন্মদিন উপলক্ষে ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
 প্রচ্ছদ   বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি   রক্ত দানেই তাঁর আনন্দ, দিয়েছেন ১৮৬ বার
রক্ত দানেই তাঁর আনন্দ, দিয়েছেন ১৮৬ বার
  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি || নারায়ণগঞ্জেরখবর.কম
প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২

‘স্বদেশের উপকারে নেই যার মন, কে বলে মানুষ তারে পশু সেই জন’ কিংবা ‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে’- এই পঙ্‌ক্তিগুলো হৃদয়ে গেঁথে নিয়েছেন জাবেদ নাসিম। রোগীর পাশে দাঁড়ানো তিনি কর্তব্য বলে মনে করেন। এ জন্য নিয়ম মেনে রক্ত দিতে তার দ্বিধা নেই। বরং অনেক বছর থেকেই হাসিমুখে কাজটি করছেন তিনি। এর বাইরেও সমাজকর্মী হিসেবে তার আলাদা পরিচিতি রয়েছে।জাবেদ নাসিম প্রসঙ্গে পরিচিতজনেরা বলেন তিনিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশিবার রক্ত দেওয়া সমাজকর্মী। ১৯৮৬ সাল থেকে তিনি রক্তদান করছেন। এ পর্যন্ত ১৮৬ বার রক্ত দিয়েছেন। এর মধ্যে ১২৬ বার ফুল ব্যাগ এবং ৫৭ বার শিশুদের রক্ত দিয়েছেন। তিনবার প্লাটিলেট দিয়েছেন। শিশুদের রক্ত দিলে বড়দের দেওয়ার জন্য সময় নিয়েছেন তিন মাস, অন্যদিকে বড়দের রক্ত দেওয়ার পরও এ নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করেছেন তিনিজাবেদ নাসিম ১৯৬৮ সালের ২৭ অক্টোবর কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। জুরাইনে কেটেছে বাল্যকাল। ঢাকার নারিন্দা সরকারি হাই স্কুল থেকে এসএসসির পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব আর্টস সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি বেসরকারি চাকরিজীবী, পাশাপাশি সামলাচ্ছেন এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা।জাবেদ নাসিম যখন যুবক তখনও দেশে মুঠোফোন আসেনি। ফেইসবুক তো ভাবাই যায় না। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তিনি দেখতে পেতেন মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজন। সেই বিজ্ঞাপন নাড়া দিতো তার নরম হৃদয়ে। সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত হন তিনি। কোনো মুমূর্ষু রোগীকে বিনামূল্যে রক্ত দেওয়ার পর যে হাসি তার ঠোঁটে দেখতে পান, সেই হাসিই তার অনুপ্রেরণা। সেই প্রশান্তি বুকে নিয়ে তিনি কাজ করছেন।রক্ত দিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছুটে গিয়েছেন জাবেদ নাসিম। রক্ত দিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি আবেগাপ্লুত হন গাইবান্ধা গিয়ে। এক শিশুকে রক্ত দেওয়ার জন্য সেখানে হাজির ছিলেন ১৪ জন রক্তদাতা। ১৪ জনের মধ্যে থেকে সেই শিশু নাসিমকে বেছে নেন। রক্ত দেওয়ার পর সেই শিশু তাকে শুভেচ্ছাও জানায়। দিনটি ছিল বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এই স্মৃতি তার জীবনের অন্যতম ভালোবাসার স্মৃতি বলে রাইজিংবিডিকে জানান নাসিম। । দেশের বিভিন্ন সংগঠন থেকে নাসিম রক্তদাতা সম্মাননা পেয়েছেন। দেশের রক্তদাতা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোতে তিনি ‘দাদুভাই’ নামে পরিচিত। এ ছাড়াও ২০১৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশ কুমিল্লা জেলা থেকে পেয়েছেন আইজিপি সম্মাননা।জাবেদ নাসিম মরণোত্তর চক্ষুদান করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি নিজে একটি আশ্রম পরিচালনা করেন। আশ্রমে ঠাঁই হয় পরিত্যক্ত নবজাতকদের। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া সেইসব নবজাতকদের বুকে তুলে নেন তিনি। ঠাঁই দেন নিজ হাতে গড়া আশ্রমে। এই আশ্রমের কোনো নাম দেননি তিনি, আশ্রমে নানা বয়সী প্রায় ৫০টি সন্তান রয়েছে, যাদের বাবা-মা নেই।জাবেদ নাসিম বলেন, আমি মানুষকে রক্ত দিয়ে আনন্দ পাই। যেখানে যখন রক্তের প্রয়োজন হয় আমি ছুটে যাই। সারাজীবন আমি রক্ত দিয়ে যেতে চাই, আল্লাহ যতদিন ভালো রাখবেন।

গাছ লাগান পরিবেশ বাচাঁন, যোগাযোগ ভাই ভাই নার্সারী মোবাইল – ০১৭১২২৫৬৫৯১

এ সম্পর্কিত আরো খবর...