নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ মৃনাল কান্তি দাস বলেন ,শামীম ওসমানের একটা কথা গলায় এসেও আটকে গেছে। শামীম ওসমান কিন্তু আমার বিয়ের ঘটক ছিলো।ও আমার বিয়ের নারায়ণগঞ্জে ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসেছিলো। নারায়ণগঞ্জের নামকরা একটা কমিউনিটি সেন্টারে আমার বিয়ে হয়েছিলো। সেদিন শামীম ওসমান আমার গ্রেফতারি আটকালেন। আমিও বউ নিয়ে মুন্সিগঞ্জ গেলাম।

১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার প বটীতে প বটী-মুক্তারপুর সড়কের কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে উক্ত কথা বলেন তিনি।

মৃনাল কান্তি বলেন, এই প্রকল্পটি যখন আমার মাথায় আসে তখন আমার মনে হয় নারায়ণগঞ্জে এত গার্মেন্টস এত শ্রমিক কোথায় যাবে তারা যদি কাজ শুরু করি।কিন্তু পরে মনে হয়েছে তাদের উন্নয়নের জন্যই তো এই প্রকল্পের কাজ। মানুষের কানে যদি ডুকিয়ে দিতে না পারি তাহলে তো আমার ভোটের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেঘনা নদী, শীতলক্ষা নদীর উপর সেতু চাইলাম। আমি যখন ওবায়েদুল কাদের সাহেবকে সংসদে এই সড়কের কথা বলি তখন অনেক কাজের প্রস্তাব আসে। কিন্তু পরে আমি ওবায়েদুল কাদেরের হাসি দেখে বুঝেছি প বটী ও মুক্তারপুর সেতু পাবো আমরা। আমি বললাম পাশ কোনটা উনি বললেন মুন্সিগঞ্জ ও মুক্তারপুরেরটা পাশ। তারমানে মুন্সিগঞ্জের মানুষের ফেলটা পাশ হয়েছে। ইনশাআল্লাহ মেঘনা নদীর উপরও আমরা সেতু পাবো।

তিনি নারায়ণগঞ্জের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন করে বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জেহর মানুষদের কাছে,সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ীদের কাছে আমি কতৃজ্ঞতা জানাবো এত সহজে তারা আমাদের জায়গা খালি করে দিবে। আমরা কখনো তাদের ভূলবো না।

আগামী সাংসদ নির্বাচন ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মৃনাল কান্তি দাস বলেন,আর কয়েকদিন পর দ্বাদশ সাংসদ সদস্য নির্বাচন হবে। আপনেরা দেখেছেন যখনই নির্বাচন আসে তখনই আগুন সন্ত্রাসী শুরু হয়েছে। তারা মানুষদের মেরেছে,বাসে আগুন জ্বালিয়েছে, বাস পুড়িয়ে দিয়েছে, পুলিশ মেরেছে,হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, জাজের বাসায় হামলা চালিয়েছে। যারা নিরহ মানুষদের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে তারা মানুষ না। তারা সুস্থ্য ধারার রাজনীতি চায় না। গত দেড় দশক ধরে বঙ্গবন্ধুর কন্যা রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। তারা মেনে নিতে পারে না প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। যদি আপনেরা সহযোগিতা করেন তাহলে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে উন্নয়নে এগিয়ে যাবো। যথাযথ যে ঘটনা দেখছেন আমরা তা আমলে নিচ্ছি না।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম,  মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুঁইয়া সাজনু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি প্রমুখ। #