শিরোনাম
আইন অমান্য করে আবাসিক বহুতল বাড়ির আন্ডার গ্রাউন্ডে অবৈধ তেলের পাম্প
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মধ্য সস্তাপুরে ( লিংক রোড সংলগ্ন) বহুতল ভবনের আন্ডার গ্রাউন্ডে অবৈধ ভাবে তেলের পাম্প স্থাপন করে ব্যবসা চালিয়ে আসছে আকবর মিয়া।
ফলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, মধ্য সস্তাপুর লিংক রোড সংলগ্ন ফাতেমা মঞ্জিল এর চতুর্থ তলার আন্ডার গ্রাউন্ডে আকবর মিয়া তেলের পাম্প স্থাপন করে।
ফলে সামান্য আগুন লাগলে ফাতেমা মঞ্জিলের চতুর্থ তলা ধ্বংস তো হবেই পার্শ্ববর্তী বহুতল ভবন গুলো ক্ষতিগ্রস্ত সহ ব্যপক প্রানহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, সরকার তেলের পাম্প বা সিএনজি স্থাপন করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ স্থান নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু আকবর মিয়া সরকারের আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ভবনের আন্ডার গ্রাউন্ডে তেলের পাম্প স্থাপন করে ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
এলাকাবাসী নিষেধ করা সত্ত্বেও কোন কর্ণপাত করেননি আকবর মিয়া।
জানা যায়, ফাতেমা মঞ্জিলের মালিক ফাতেমার আপন দুই ভাই রুহুল আমিন ও হারুন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা। ফাতেমা বেগম অধিক মুনাফা লাভের জন্য জনসাধারণের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তেলের পাম্প করার জন্য আন্ডার গ্রাউন্ড ভাড়া দিয়েছে।
দেখা যায়, তেলের পাম্প এর ভিতরে সবই প্লাস্টিকের ও গাজী ট্যাংকের ড্রাম রয়েছে। একবার কোন রকম অগ্নিকান্ড ঘটলে মুর্হুতের মধ্যে দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়বে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন,
ঢাকার বেইলি রোডের হোটেল সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে যে প্রানহানির ঘটনা ঘটেছে তার চেয়ে বেশি প্রানহানির ঘটনা ঘটবে উক্ত তেলের পাম্পে বিস্ফোরন হলে।তাদের দাবি আকবর মিয়া নাকি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বহুতল ভবনের নিচে তেলের পাম্প স্থাপন করেছে।
এলাকাবাসীর দাবী আন্ডার গ্রাউন্ডে তেলের পাম্প স্থাপন করার অনুমতি নেই এটা সত্য। হারুন ও রুহুল আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার সুবাধে ফাতেমা বেগম অতি মুনাফা লাভের জন্য তেলের পাম্প ভাড়া দিয়েছে।
দৃর্ঘটনা ঘটার আগেই উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক ও বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান সচেতন মহল। #