শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে জাহাঙ্গীর মেম্বার টাকা হাতিয়ে নিল
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম ও তার ভাই আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার স্বরুপ আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নাম করে গরীব মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে স্মারক লিপি প্রদান করেছে ভূক্তভোগীরা।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে ৯ জন ভূক্তভোগী লেখা একই (নাম ঠিকানা ভিন্ন) পৃথক পৃথক স্বাক্ষরে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ পত্র প্রদান করেন।এদের মধ্যে একজন সালমা আক্তার। তার অভিযোগ টি তুলে ধরা হলোঃ
জনাব, যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি সালমা আক্তার (২৪), জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ৩৩০৮৩২৪১৮৯, পিতা: মোকলেছ মোল্লা, মাতা: ফরিদা বেগম, সাং- নতুন সৈয়দপুর, নারায়ণগঞ্জ সদর, নারায়ণগঞ্জ-১৪০০।
আপনার কার্যালয়ে হাজির হইয়া নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়ন এর ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, পিতা: মৃত ইয়ার হোসেন সরদার, সাং- নতুন সৈয়দপুর, ওয়ার্ড নং-৭, নারায়ণগঞ্জ সদর, নারায়ণগঞ্জ এর বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমি নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন গোগনগর ইউনিয়ন এর নতুন সৈয়দপুরের একজন বাসিন্দা। আমি একজন গৃহহীন হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ আমার স্বামী-সন্তান নিয়া বিভিন্ন সময় মাটি ভাড়া অথবা ঘর ভাড়া নিয়া বসবাস করিয়া আসিতেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকার মাননীয় প্রধান মন্ত্রী মহোদয়ের গৃহায়ন ও আশ্রয়ন প্রকল্পের অধীনে দুস্থ ও গৃহহীন ব্যক্তিদের জায়গা সহ ঘর বরাদ্দ দিয়া আসিতেছিল। গোগনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আমার অনুকূলে জায়গাসহ ঘর বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলিয়া অনুমান ০২ বছর পূর্বে আমার নিকট থেকে ১,৫৮,০০০/- (এক লক্ষ আটান্ন হাজার) টাকা নিয়াছিল। আমি তাহার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করিয়া সরল বিশ্বাসে বিগত ০২ বছর পূর্বে এনজিও ও বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হইতে ঋণ গ্রহণ করিয়া জায়গাসহ ঘর পাওয়ার জন্য তাহাকে উক্ত টাকা প্রদান করি। পরবর্তীতে সে আমার অনুকূলে জায়গাসহ ঘর বরাদ্দ না দিয়া এবং আমার টাকা ফেরত না দিয়া বিভিন্ন অযুহাত দেখাইয়া আমাকে ঘুরাইতেছে। আমি টাকা চাইতে গেলে আমাকে বলে যে, চেয়ারম্যানের নিকট টাকা আছে,
চেয়ারম্যান আমাকে টাকা ফেরত দিলে আমি আপনার টাকা ফেরত দিব। আমি মেম্বারের নিকট পুনরায় টাকা চাইতে গেলে ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আমাকে বিভিন্ন প্রকার হয়রানীসহ হুমকি-ধমিক প্রদান করিতেছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করিয়াও ব্যর্থ হওয়ায় আপনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করিলাম।
অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এই যে, আমার প্রদানকৃত টাকা ফেরত প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনার সদয় মর্জি কামনা করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার মুঠোফোনে জানান,এখন কত কথা কইবো। আমি টাকা নিছি লিখিত কোন প্রমান দেখাতে পারলে যে সাজা দিবো মাথা পেতে নিবো। এখন পরিষদ ৩ টি গ্রুপে ভাগ হয়ে গেছে। #