শিরোনাম
নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতে কৃষকের বাজার শীর্ষক মতবিনিময়
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ জমি থেকে সরাসরি স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ কৃষিপণ্য মধ্যসত্ত¡ভোগীর প্রভাব কমিয়ে ভোক্তার হাতে পৌঁছে দেওয়া এবং কৃষকের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে নারায়ণগঞ্জের দু;টি ওয়ার্ডে ১০ মাস আগে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হয়েছিল ‘কৃষকের বাজার’।
এ প্রকল্পের আওতায় বাছাই করা কৃষকরা সরাসরি তাদের জমি থেকে তুলে আনা বিভিন্ন ধরণের সবজি এই বাজারে এনে বিক্রি করে। নেদারল্যান্ডস্ সরকারের আর্থিক সহায়তায় জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর ঢাকা ফুড সিস্টেম এর আওতায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের অধীনে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে ওয়াক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাষ্ট নামে একটি এনজিও। এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে আগামী মে মাসে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও যেন ‘কৃষকের বাজার’ চলমান তাকে সেজন্য সোমবার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, নাসিক ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ^াস, ওয়াক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর কর্মকর্তা আনোয়ার উল ইসলাম, টিম লিডার জিয়াউর রহমান, সাইমুন নাহার ঋতু। সভায় কৃষকের বাজার এর উপর বিভিন্ন দিক আলোকপাত করেন প্রকল্প কর্মকর্তা অর্পণা মৌটুসী। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থেকে ফিরোজ আলম ও শরিফ উদ্দিন নামে দু’জন কৃষক কৃষকের বাজার সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, গত বছরের জুনে এ প্রকল্প শুরু হয়। চলতি বছরের মে মাসে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। এরপরেও যেন কৃষকের বাজার স্বাভাবিক ভাবে চলতে পারে সে বিষয়ে সাংবাদিকদের মতামত গ্রহণ করা হয়।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, পাইলট প্রকল্প হিসেবে ঢাকার ২টি, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ১৬টি কৃষকের বাজার চালু করা হয়। এসব বাজারে কৃষক তার উৎপাদিক পণ্য সরাসরি এনে বিক্রি করেন। এতে করে মধ্যসত্ত¡ভোগীর কোন প্রভাব না থাকায় কৃষক তার পণ্যের ন্যায্য মূল পান এবং ভোক্তা স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ সবজি কিনতে পারেন। নারায়ণগঞ্জের ১২ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ২টি কৃষকের বাজার চলমান রয়েছে। প্রতি শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এই বাজার। প্রাথমিক ভাবে এই বাজারে পণ্য আনতে কৃষকদের ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করেন সংশ্লিষ্ট এনজিও। তাছাড়া কৃষকদের সকাল ও দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় কৃষক ট্রান্সপোর্ট ও খাবার সুবিধা পাবেন না। এরপরেও যেন বাজার চালু থাকে সে ব্যাপারে আলোচনা করা হয়। উপস্থিত সাংবাদিকরা তাদের মতামত ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন। #