ভুলতা-গোলাকান্দাইলে হাইড্রোলিক হর্ণে শব্দ দূষণে চরম ভোগান্তি
নিজাম উদ্দিন আহমেদ – রুপগঞ্জ প্রতিবেদকঃ
রূপগঞ্জের ভুলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকায় হাইড্রোলিক হর্ণের প্রচন্ড শব্দ হৃদরোগসহ মাথাব্যথার কারণ বলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। হাইড্রোলিক হর্ণ বন্ধ করতে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা থাকলেও তা মানছেন না পুলিশ কর্মকর্তারাও। রূপগঞ্জ উপজেলার
ঢাকা সিলেট মহাসড়কের গোলাকান্দাইল ও ভুলতা বাসস্ট্যান্ডের চারপাশে রয়েছে ১০/১২টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক। আর বাসস্ট্যান্ডগুলোকে কেন্দ্র করে সেখানে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি পরিবহনের কাউন্টারসহ বিভিন্ন দোকানপাট।
হাসপাতালের সামনেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাস ও ট্রাকের হাইড্রোলিক হর্ণের শব্দ। আর এতে হাসপাতালসহ আশপাশের এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দারা শিকার হচ্ছেন শব্দ দূষণের।
ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ৩৬ টি রোডের বাস ভুলতা এলাকা থেকে যাওয়া আসা করে। আর এখান থেকে পরিবহনের হাইড্রোলিক হর্ণে মানুষের কান ঝালাফালা হয়ে যায়। এতে করে অনেকেই কানে কম শোনে এবং হৃদরোগ সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
ভাই ভাই কমপ্লেক্সের ৬০ বছর উর্ধ্ব সোহরাব হোসেন নামে এক বৃদ্ধ বলেন ভুলতা গোলাকান্দাইল চৌরাস্তা এলাকায় আসার পর এখানে কেউ কানে ঠিকমতো শুনতে পান না এমন কি মোবাইলের রিং টোনও। যদিও ফোন ধরা যায়, তবে গলি খুঁজে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হয়। টানা হাইড্রোলিক হর্ণের শব্দের দাপটে প্রবীণ নাগরিকরা অসুস্থ বোধ করেন। গাড়ি চালাতেও সমস্যা হয় বলে জানালেন অনেক গাড়ির চালক। গোলাকান্দাইল বাসিন্দাদের অভিযোগ, শব্দ দূষণের ফলে মানুষ অসহনীয় যন্ত্রণায় ভোগেন। এর থেকে দ্রুত মুক্তি চায় তারা। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন নির্বিকার, নিচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা।
চিকিৎসকেরা জানান, শব্দ দূষণের ফলে শ্রবণ শক্তি হারিয়ে যাওয়া, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া সহ নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। শব্দ দূষণ এই এলাকার মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে, তা মানছেন পুলিশ কর্মকর্তারাও।
এবিষয়ে রূপগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা টিআই মোহাম্মাদ আলী আরশাফ মোল্লা বলেন, আমি নতুন আসছি গাড়ির হাইড্রোলিক শব্দের বিষয়টি সত্যই এতে মানুষের অনেক ক্ষতি হচ্ছে আমি বিষয়টি দেখবো। আর এলাকায় মাইকের শব্দের বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন জেনেছি তবে শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #